গাজীপুরে মাটির নিচে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১৬টি গ্রেনেড পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে বোম্ব ডিসপোসেবল ইউনিট গ্রেনেডগুলো নিস্ক্রিয় করে। সোমবার গাজীপুর সিটি সদর থানার দক্ষিণ ছায়াবীথি এলাকায় বাড়ি নির্মাণের সময় জমি খনন করতে গেলে গ্রেনেডগুলো পাওয়া যায়।
জানা যায়, আবুল কাশেম নামের এক ব্যক্তি সম্প্রতি তিনি ওই জমিতে বাড়ি নির্মাণের প্রস্তুতি নেন। সোমবার সকালে শ্রমিকেরা মাটি খনন করার পর গর্তের মধ্যে একটি মাটির কলস দেখতে পান। এর ভেতরে গ্রেনেড-সদৃশ কয়েকটি বস্তু দেখা যায়।
পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা এসে পরীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে ধারণা করেন, এগুলো পরিত্যক্ত গ্রেনেড। খবর পেয়ে ঢাকা থেকে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের একটি দল এসে গ্রেনেডগুলো নিস্ক্রিয় করে।
গাজীপুর সদর মেট্রো থানার ওসি সৈয়দ রাফিউল করিম জানান, ঘটনার দিন সকালে ওই এলাকার স্থানীয় আবুল কাশেম নামে এক ব্যক্তি একটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু করেন। এ সময় তারা ৩-৪ ফুট মাটি খোঁড়ার পর একটি মাটির মটকায় পলিথিনের ভেতর কয়েকটি গ্রেনেডসদৃশ বস্তু দেখে জমির মালিককে খবর দেন। পরে তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে মাটির নিচে বোমসদৃশ কিছু বস্তু পাওয়ার বিষয়টি জানায়। সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য ঢাকায় বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেই।
গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় শেষে সিটিটিসি বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহমুদ উজ জামান, দীর্ঘদিন ধরে মাটির নিচে চাপা থাকা আর্জেস গ্রেনেডগুলো ছিল খুবই শক্তিশালী। এটি মাটির হাড়িতে ব্যাগ পেঁচানো অবস্থায় ছিল। আমরা এসে বোমগুলো উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করি।
তিনি আরও বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় এ ধরনের গ্রেনেডই ব্যবহার করা হয়েছিল।